ব্রেন স্ট্রোক থেকে বাঁচার কার্যকরী কিছু উপায়
ব্রেন স্ট্রোক থেকে বাঁচার কার্যকরী কিছু উপায় আপনাদের সাথে আমার এই আর্টিকেলের মাধ্যমে শেয়ার করব। ব্রেন স্ট্রোক খুবই মারাত্মক এবং প্রাণঘাতী একটি সমস্যা তবুও সঠিক জীবন যাপন এবং স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুললে ব্রেন স্ট্রোক থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
বর্তমানে অকাল মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক বা মস্তিষ্কের
রক্তক্ষরণ।স্ট্রোক ছোট বড় যে কোন বয়সের লোকের সাথে ঘটতে পারে যেকোনো সময়।
স্ট্রোকের অন্যতম প্রধান কারণ হলো মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে বাধার সৃষ্টি করা এবং
মস্তিষ্কের কোষগুলোকে ধ্বংস করে দেওয়া।
সূচিপত্রঃ ব্রেন স্ট্রোক থেকে বাঁচার কার্যকরী কিছু উপায়
- ব্রেন স্ট্রোক কি
- ব্রেইন স্ট্রোক কেন হয়
- স্ট্রোকের সাধারণ কিছু লক্ষণ ও চিকিৎসা
- ব্রেইন স্ট্রোকের ঝুঁকির কারণ
- স্ট্রোক থেকে বাঁচার উপায়
- স্ট্রোকের পরে কিছু জটিলতা
- উপসংহার
ব্রেন স্ট্রোক থেকে বাঁচার কার্যকরী কিছু উপায়
ব্রেন স্ট্রোক থেকে বাঁচার কার্যকরী কিছু উপায় রয়েছে। যদিও ব্রেন স্ট্র োক একটি প্রাণঘাতী সমস্যা তবুও চেষ্টা করলে এটিকে প্রতিরোধ করা সম্ভব। সঠিক এবং সুস্থ জীবন যাপন এবং নিয়মিত খাদ্যাভাস এবং চিকিৎসার ফলে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমানো সম্ভব। মস্তিষ্কের কোষ অক্সিজেনের অভাবে নিস্তেজ হয়ে অকেজো হয়ে পড়ে আর এই অবস্থাকেই স্ট্রোক বলা হয়। আপনি যদি একটু নিয়ম মেনে চলেন তাহলে স্ট্রোকে ঝুঁকি থেকে অনেকটাই দূরে থাকতে পারবেন। আপনাদের সাথে এ বিষয়ে কয়েকটি পরামর্শ শেয়ার করা হলো
আরও পড়ুনঃ পায়ের গোড়ালি ফাটা রোধের ঘরোয়া কার্যকরী উপায়
সঠিক জীবন যাপনের পদ্ধতিঃ
আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সবুজ শাকসবজি, ফল এবং কম চর্বিযুক্ত খাবার
রাখুন । স্বাস্থ্যকর খাবার হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে বেশ কার্যকরী। পর্যাপ্ত পানি পান
করুন। চিনি এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকে দূরে থাকুন।
নিয়মিত ব্যায়াম করুনঃ নিয়মিত ব্যায়াম করে আপনার শরীরের বাড়তি চর্বি দূর করা সম্ভব।
প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটাহাঁটি করুন। আপনি চাইলে দৌড়াদৌড়ি, সুইমিং করতে
পারেন। ব্যায়াম শরীর এবং মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে বেশ কার্যকরী।
মহিলাদের জন্য হরমোনগত সমস্যাঃ বিভিন্ন রকম গর্ভনিয়ন্ত্রক পিল স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। এটি উচ্চ
রক্তচাপ,স্থুলতা, মাইগ্রেনের মতো অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ রোগের সৃষ্টি
করে।মেনোপেজের সময় বিভিন্ন হরমোন গত তারতম্য স্ট্রোকের ঝুকি বাড়ায়। তাই
ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ/পিল সেবন করা উচিত।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণঃ
উচ্চ রক্তচাপ স্ট্রোকের অন্যতম প্রধান কারণ। উচ্চ রক্তচাপ থাকলে নিয়মিত
রক্তচাপ পরীক্ষা করুন প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণঃ উচ্চমাত্রার কোলেস্ট্রল শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। অনিয়ন্ত্রিত
কোলেস্টেরল মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণের ঝুঁকি বাড়ায়।
ডায়াবেটিস ও ওজন নিয়ন্ত্রণঃ অতিরিক্ত ওজন স্ট্রোকের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম
এবং স্বাস্থ্যকর খাবারের মাধ্যমে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন। ডায়াবেটিস থাকলে
স্ট্রোকে ঝুঁকি বাড়ে তাই নিয়মিত আপনার সুগার লেভেল পরীক্ষা করুন এবং ডাক্তারের
পরামর্শ অনুযায়ী চলার চেষ্টা করুন।
ধূমপান ত্যাগ করুনঃ স্ট্রোকের আরেকটি অন্যতম কারণ হচ্ছে ধূমপান। ধূমপান করলে যেমন হার্ড এবং
ফুসফুস এর ক্ষতি হয় তেমনি মস্তিষ্কেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়। অতিরিক্ত ধূমপান হৃদ
রোগ এবং স্ট্রোকে ঝুঁকি বাড়ায়। অ্যালকোহল সেবন কমিয়ে দিন পারলে পুরোপুরি
এই অভ্যাস বাদ দিয়ে দিন।
স্ট্রোকের পারিবারিক ইতিহাসঃ স্ট্রোকের পারিবারিক ইতিহাস আপনার জন্য মারাত্মক ঝুঁকির কারণ হতে পারে।
পরিবারের কারো স্ট্রোকের কারণ থেকে থাকলে তা পুরোপুরি জানুন এবং সেই অনুযায়ী
নিজে সাবধান এবং সচেতন থাকুন।
ব্রেন স্ট্রোক কি
ব্রেন স্ট্রোক হল মস্তিষ্কের একটি জরুরী অবস্থা যার ফলে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়
এবং রক্ত প্রবাহে বাধার সৃষ্টি করে। ফলে মস্তিষ্কের কোষগুলো পর্যাপ্ত অক্সিজেন না
পাওয়ায় দ্রুত নষ্ট হতে শুরু করে। সাধারণত দুই ধরনের স্ট্রোক হয়ে থাকে
১। এক ধরনের স্ট্রোকে মস্তিষ্কের রক্তনালী ফেটে রক্তক্ষরণ হতে পারে।
২। আরেকটি সাধারণ প্রক্রিয়া যেখানে রক্তনালী রক্ত প্রবাহে বাধার সৃষ্টি করে হলে রক্ত মস্তিষ্কের কোন অংশে পৌঁছাতে পারে না।
ব্রেইন স্ট্রোক কেন হয়
ব্রেন স্ট্রোক হওয়ার অনেকগুলো কারণ রয়েছে। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ এবং অক্সিজেন
সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে স্ট্রোক হয়। তবে স্ট্রোক সংঘটিত হওয়ার কিছু কারণ রয়েছে
যা একটু সচেতন হলে এবং সুস্থ জীবন যাপন পরিচালনা করতে পারলে এই প্রাণঘাতী
স্ট্রোক থেকে অনেকাংশে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। কিছু কিছু কারণে স্ট্রোক হয়।
যেমন-
- অতিরিক্ত ধূমপান করা
- অ্যালকোহল জাতীয় খাবার গ্রহণ করা
- অতিরিক্ত তেল চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়া
- নিয়মিত ব্যায়াম না করা
- ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তি
- অতিরিক্ত স্ট্রেস বা টেনশন
- স্থুলতা বা অতিরিক্ত স্বাস্থ্য
- মহিলাদের হরমোন গত সমস্যা
- পারিবারিক পূর্ববর্তী স্ট্রোক এর রিপোর্ট
এসব কারণে সাধারণত স্ট্রোক হয়ে থাকে। তবে আপনি চাইলে একটি সুস্থ জীবন যাপন
পরিচালনার মাধ্যমে স্ট্রোক থেকে দূরে থাকতে পারবেন।
স্ট্রোকের সাধারণ কিছু লক্ষণ ও চিকিৎসা
ব্রেন স্ট্রোক থেকে বাঁচার কার্যকরী কিছু উপায় আর্টিকেলের মাধ্যমে স্ট্রোকের কিছু সাধারন লক্ষণ ও চিকিৎসা পদ্ধতি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। যাতে আপনারা ঘরে বসেই স্ট্রোক সম্পর্কে সচেতন এবং প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে পারেন। তোকে কিছু সাধারণ লক্ষণ রয়েছে সেগুলো জানলে এবং সময়মতো চিকিৎসা নিলে বড় বিপর্যয় থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। যেমন-
- হঠাৎ ভারসাম্য হারানো
- হঠাৎ কথায় জড়তা ও কথা বলতে অসুবিধা
- তীব্র থেকে তীব্রতর মাথাব্যথা
- হঠাৎ বৃষ্টি শক্তির সমস্যা
- মুখ,হাত,পা হঠাৎ অবশ হয়ে যাওয়া
- শারীরিক দুর্বলতা অনুভব করা
- ঢোক গিলতে সমস্যা হওয়া
- জিহ্বা বা মুখ বাঁকা হয়ে যাওয়া
- বমি বমি ভাব ও খিচুনি হওয়া
এছাড়াও স্ট্রোক সনাক্ত করুন নিম্নলিখিত উপায়ে-
- কথা বলতে বা বুঝতে সমস্যা হওয়া
- হঠাৎ করে মুখের কোন অংশ ঝুলে পড়া
- হাত উঁচু করতে সমস্যা
- হাঁটাহাঁটি করতে গেলে মাথা ঘোরা এবং শারীরিক দুর্বলতা অনুভব করার মত সমস্যা
এসব সমস্যা দেখা দিলে বসে না থেকে দ্রুত চিকিৎসকে পরামর্শ নিন। ব্রেন স্ট্রোকের
দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। স্ট্রোকের ধরনের উপনির্ভর করে চিকিৎসা
পদ্ধতি একটু ভিন্ন হতে পারে। সাধারণত দুই ধরনের স্ট্রোক হয়ে থাকে
১। ইসকেমিক স্ট্রোকঃ এই ধরনের স্ট্রোক হলে রক্ত প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায় এবং মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ হয়। দ্রুত চিকিৎসা না নিলে এই স্ট্রোক মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এ ধরনের স্ট্রোক হলে ডাক্তাররা রক্ত পাতলা করার জন্য ঔষধ দেন যা রক্তের জমাট বাধা ঠেকাতে সাহায্য করে। স্ট্রোক হলে প্রথমে একটি সাধারণ চিকিৎসা দেওয়া হয় যেটিকে টিস্যু প্লাসমিনোজেন অ্যাক্টিভেটর বলা হয়। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এটি স্ট্রোক হওয়ার চার থেকে পাঁচ ঘন্টার মধ্যেই দিতে হয় তা না হলে এটির আর কোন কার্যকারিতা থাকে না।
২। হেমোরেজিক স্ট্রোকঃ এই স্ট্রোকে মস্তিষ্কের রক্তনালি ফেটে যায় এবং রক্তক্ষরণ হতে থাকে। এটি অত্যন্ত জটিল এবং বিপদজনক। এ ধরনের স্ট্রোক দেখা দিলে। মস্তিষ্কের রক্ত জমাট সারিয়ে ফেলতে ক্রানিওটমি করা হয়। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন ঔষধ দেওয়া হয় যা রক্তক্ষরণে ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
ব্রেইন স্ট্রোকের ঝুঁকির কারণ
স্ট্রোক হওয়ার প্রধান একটি কারণ হলো বয়স।বয়স বাড়ার সাথে সাথে স্ট্রোকের
ঝুঁকিও বাড়ে। এছাড়াও স্ট্রোক হওয়ার ক্ষেত্রে জেনেটিক প্রভাব থাকে। স্ট্রোক
একটি মরণঘাতি মারাত্মক সমস্যা হলেও অনেকাংশে সুস্থ জীবন যাপন এর উপর নির্ভর করে
এর ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব।স্ট্রোক হওয়ার প্রধান একটি কারণ হলো উচ্চ
রক্তচাপ। যার উচ্চ রক্তচাপ এর পরিমাণ বেশি তার স্ট্রোক হওয়ার প্রবণতা অনেক
বেশি।
আরও পড়ুনঃ বিটরুট খেলে মিলবে অবিশ্বাস্য ৭ টি উপকার
স্ট্রোকের ঝুঁকির জন্য ধূমপান দায়ী। আপনি যদি সিগারেট, অ্যালকোহল জাতীয় খাবার অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ করেন তাহলে আপনার স্ট্রোক সংঘটিত হওয়ার কারণ ও বেড়ে যাবে। ধূমপান শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ কমিয়ে দেয় যা লোহিত কণিকা উৎপাদনে বাধা সৃষ্টি করে। যার ফলে মস্তিষ্ক সহ হৃদপিণ্ড সব জায়গাতেই অক্সিজেন সরবরাহ কমে যায়।
স্ট্রোক থেকে বাঁচার উপায়
ব্রেন স্ট্রোক থেকে বাঁচার কার্যকরী কিছু উপায় এই আর্টিকেলের মাধ্যমে স্ট্রোক থেকে বাঁচার কিছু উপায় আপনাদের সাথে আলোচনা করা হলো। ব্রেন স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে আপনি নিম্নলিখিত কাজগুলো করতে পারেন। যথা-
- একটি স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন পরিচালনা করুন
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন
- অতিরিক্ত চর্বি ও ফ্যাট জাতীয় খাবার পরিহার করুন ডায়াবেটিস বা অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হলে সময়মতো চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
- কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করুন
- শারীরিক ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন
- অ্যালকোহল জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন
- ধূমপান পরিহার করুন
- উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করুন
- সময় মত ডাক্তারের চেকআপ নিন
এই উপায়গুলো অবলম্বন করলে আপনি স্ট্রোকের ঝুঁকি থেকে নিজেকে রক্ষা করতে
পারবেন।
স্ট্রোকের পরে কিছু জটিলতা
স্ট্রোক হওয়ার পরে শারীরিক কিছু জটিলতা দেখা দেয়। কোন কোন
স্ট্রোক গুরুতর ফলাফল দেয় এবং কোন কোন স্ট্রোক তেমন কোন ফলাফল দেয় না।
স্ট্রোকের কারণে কখনো কখনো মুখের ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। যেমন-মুখ ফুলে
যায, মুখ বাঁকা হয়ে যায়, মুখের কোন অংশ ঝুলে পড়ে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে কথা
বলতে অনেক রকম জটিলতা দেখা দেয়। এছাড়াও একজন স্ট্রোক করা রোগের ক্ষেত্রে
নিম্নলিখিত জটিলতা গুলো দেখা দেয়
- স্মৃতিশক্তি জনিত সমস্যা
- মনোযোগ জাতীয় সমস্যা
- ইমিউনিটি সিস্টেম দুর্বল হয়ে যাওয়া
- হাত পায়ে দুর্বলতা অনুভব করা
- শারীরিক শক্তি কমে যাওয়া
- মাথা ঘোরা
কোন কোন ক্ষেত্রে স্ট্রোকের পরবর্তী লক্ষণ আরো ভয়ঙ্কর হয়ে থাকে। স্ট্রোক পরবর্তী পুনর্বাসন অত্যন্ত জরুরী। পুনর্বাসনের মাধ্যমে রোগী পুনরায় সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারেন।
১। শারীরিক থেরাপিঃ স্ট্রোকের ফলে শারীরিক দুর্বলতা দেখা দেয় এবং অনেক সময় বিভিন্ন অঙ্গ অবশ হয়ে যায় এক্ষেত্রে ফিজিওথেরাপি অত্যন্ত কার্যকরী। ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে রোগীর হাত-পা এবং অন্যান্য অংক গুলো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে সাহায্য করে।
২। মানসিক থেরাপিঃ স্ট্রোকের পরে রোগী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকে। এ সময় তার শারীরিক এবং মানসিক অবস্থার অবনতি ঘটে। মানসিক থেরাপি বা কাউন্সিলিং এক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। রোগীর ভীতি দূর করতে এবং মানসিক শক্তি প্রদান করতে সাহায্য করে।
উপসংহারঃ ব্রেন স্ট্রোক থেকে বাঁচার কার্যকরী কিছু উপায়
ব্রেন স্ট্রোক থেকে বাঁচার কার্যকরী কিছু উপায় হল সুস্থ জীবন যাপনের পদ্ধতি এবং স্ট্রোক হওয়ার ঝুটির কারণ হতে নিজেকে রক্ষা করা। ধূমপান এবং মদ্যপান ত্যাগ, নিয়মিত চেকআপ, সঠিক খাদ্যাভ্যাস স্ট্রোকে ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। স্ট্রোকের লক্ষণগুলো চিহ্নিত করতে পারলে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হন এবং নিয়ম তান্ত্রিক জীবন যাপন পরিচালনা করুন।
আরও পড়ুনঃ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সাজিনা পাতার উপকারিতা
স্ট্রোক একটি মরণঘাতি অসুখ হলেও এ থেকে রক্ষা পেতে গেলে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।ব্রেন স্ট্রোক থেকে বাঁচার কার্যকরী কিছু উপায় এই আর্টিকেল আপনাদের ভালো লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং কিছু জানার থাকলে আমাকে কমেন্ট করে জানান। নতুন নতুন আরও তথ্য পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url