বিটরুট খেলে মিলবে অবিশ্বাস্য ১০ টি উপকার


বিটরুট খেলে মিলবে অবিশ্বাস্য ১০ টি উপকার। আপনার প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় যোগ করতে পারেন এই বিটরুট। বিটরুটে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও খনিজ উপাদান। আমাদের দেশের তুলনায় বহির বিশ্বে এর চাহিদা অনেক বেশি।
বিটরুট-খেলে-মিলবে-অবিশ্বাস্য-৭-টি-উপকার
বিটরুটের বিভিন্ন পুষ্টিগুণের জন্য একে সুপার ফুড বলা হয়। বিটরুট একটি প্রাকৃতিক উপাদান যা পাউডার হিসেবেও খাওয়া যায়, কাঁচা অবস্থাতেও খাওয়া যায় এবং সবজির সাথে মিশিয়ে রান্না করে খাওয়া যায়। মোটকথা বিটরুট খেলে পাবেন অনেক রকম স্বাস্থ্য উপকার।

সূচিপত্রঃ বিটরুট খেলে মিলবে অবিশ্বাস্য ৭ টি উপকার

আরও পড়ুনঃ তুলসী পাতার কয়েকটি উপকারিতা ও অপকারিতা

বিটরুট খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা

বিটরু ট একটি প্রাকৃতিক খাদ্য উপাদান যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। বিটরুট খেলে মিলবে অবিশ্বাস্য ৭ টি উপকার। এটি শারীরিক সহনশীলতা এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত হয়। বিটরুট খাওয়ার কয়েকটি পদ্ধতি সম্পর্কে আপনাদের সাথে আলোচনা করা হলো।

১। পানির সাথে মিশিয়েঃ এক গ্লাস পানিতে এক চামচ বিটরুট মিশিয়ে সকালে খালি পেটে পান করুন। এটি দ্রুত এনার্জি দিতে সাহায্য করে এবং খুব সহজেই শরীরের শোষিত হয়।

২। বিটরুটের জুসঃ প্রথমে কিছু বিটরুট পরিষ্কার করে কুচি কুচি করে কেটে এক কাপ দুধের সাথে ব্লেন্ড করে নিন। এক চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন।

৩। বিভিন্ন জুসের সাথে মিশিয়েঃ আপনি চাইলে আপেল, কমলা, অথবা পাকা কলা সাথে পরিমাণ মতো দিয়ে টক দইয়ের সাথে ব্লেন্ড করে নিন। এই জুস যেমন স্বাস্থ্য উপকারী তেমন পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ।

৪। সালাদের সাথে মিশিয়েঃ বিভিন্ন রকম সালাদ তৈরিতে বিটরুট ব্যবহার করুন। আপনি চাইলে কাঁচা বিটরুট কিউব করে সালাতের সাথে পরিবেশন করতে পারেন অথবা বিটরুট পাউডার সালাতের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন।

আরও পড়ুনঃ সাজিনা পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা

৫। স্যুপ এর সাথে মিশিয়েঃস্যুপ খাওয়ার সময় এর সাথে বিট্রুট পাউডার যোগ করতে পারেন। এতে কূপের রং আরো আকর্ষণীয় হবে এবং সাথে যোগ হবে বাড়তি পুষ্টিগুণ।

নিয়মিত খেলে মিলবে অবিশ্বাস্য ৭ টি উপকার। বিটরুট বিভিন্নভাবে খাওয়া যায় এবং এটি শরীরের জন্য অনেক উপকারী এবং পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। নিয়মিত বিটরুট খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। বিটরুট খেলে আপনি শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ থাকবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক বিদ্যুতের কয়েকটি উপকারিতা।

ওজন কমাতেঃ যারা অতিরিক্ত ওজন নিয়ে চিন্তিত তারা প্রতিদিনের খাবার তালিকায় রাখতে পারেন। এতে ফাইবার বেশি থাকায় এবং ক্যালোরি কম থাকায় অনেক সময় ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

হজম শক্তি বৃদ্ধি করেঃ বিটরুটের ফাইবার থাকায় এটি হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। পেটে যাবতীয় সমস্যা দূর করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।

প্রদাহ কমাতে সাহায্য করেঃ বিটরুটে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেকোন রকম প্রদাহ কমাতে দ্রুত কার্যকরী। এছাড়াও এটি বাতের মতো প্রদাহ কমাতে বেশ ভালো কাজ করে এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি কমায়।

শক্তি এবং কর্ম ক্ষমতা বাড়াতেঃ বিটরুট নাইট্রোজেন সমৃদ্ধ হয় এটি শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ায়। এটি শারীরিক শক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে।

বিটরুট-খেলে-মিলবে-অবিশ্বাস্য-৭-টি-উপকার

ক্যান্সার প্রতিরোধেঃ ক্যান্সার প্রতিরোধে বিটরুট অত্যন্ত কার্যকরী বিশেষ করে কোলন ক্যান্সার ও লিভার ক্যান্সার প্রতিরোধে  খুব ভালো কাজ করে।বিটরুটে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং বিটা সায়ানিন ক্যান্সারের কোষগুলোকে নির্মূল করতে সাহায্য করে।

শারীরিক শক্তি বাড়ায়ঃ বয়সের সাথে সাথে শারীরিক শক্তি দিন দিন কমে যায়। শারীরিক শক্তি বাড়াতে বিটরুট বেশ কার্যকরী। ছোট থেকে বড় সবাই নিয়মিত বিটরুট খেলে শারীরিক শক্তি অনেক গুণ বেড়ে যায়।

দৃষ্টিশক্তি বাড়াতেঃ বিটরুট কাঁচা অবস্থায় খাওয়া যায়। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা লুইটেন নামে পরিচিত চোখের যাবতীয় রোগ সারাতে বেশ কার্যকরী এবং দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। এছাড়াও এতে হাইটো কেমিক্যাল রয়েছে যা চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।

বিটরুটের বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান

বিটরুটে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ও খনিজ উপাদান। এছাড়াও এতে রয়েছে ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এছাড়াও এতে রয়েছে-

  • আয়রন
  • জিংক
  • ক্যালসিয়াম
  • ম্যাগনেসিয়াম
  • ম্যাঙ্গানিজ
  • ভিটামিন এ
  • ভিটামিন সি

এসব ছাড়াও আরো অন্যান্য পুষ্টি উপাদান এতে রয়েছে। বিটরুট রান্না এবং কাঁচা অথবা পাউডার সব অবস্থাতে খাওয়া যায়। তবে কাঁচা বিটরুট খাওয়ার উপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ সবচেয়ে বেশি।

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বিটরুট

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বিদ্রুপ কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এতে প্রচুর পরিমাণে নাইট্রেট থাকায় উচ্চ রক্তচাপে ঝুঁকি হ্রাস করে। এছাড়াও এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। বিটরুটে থাকা নাইট্রোজেন রক্তনালীকে প্রসারিত করে এবং রক্তচাপ কমায়। একটা নির্দিষ্ট বয়সের পরে মেয়েদের মনোপেজ হয়। এ সময় খাবার থেকে প্রচুর পরিমাণে লবণ শোষিত হয়। যার কারনে রক্তচাপ বেড়ে যায় এবং সৃষ্ট হয় বুক ধরফর করা, শ্বাসকষ্ট, টেনশন, এবং মাথাব্যথার মত সমস্যা। বিটরুটে থাকা নাইট্রেট উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।

গর্ভাবস্থায় বিটরুট খাওয়ার উপকারিতা

একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা জরুরী। সন্তান পেটে থাকা অবস্থায় একজন মায়ের বিভিন্ন রকমের ঘাটতি পরে এবং রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। ক্যালসিয়াম এর ঘাটতি আয়রনের ঘাটতি দেখা দেয়। পরিত্রাণের প্রাকৃতিক একটি পুষ্টি উপাদান হলো বিটরুট। এছাড়াও বিটরুট খেলে মিলবে অবিশ্বাস্য ৭ টি উপকার।

  1. গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ দেখা দেয় এ সময় বিদ্রুট খেলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আসে।
  2. প্রত্যেকটি গর্ভবতী মাকে ক্যালসিয়াম খেতে হয় সেক্ষেত্রে বিটরুট ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করে।
  3. বিটরুট খেলে ইমিউনিটি সিস্টেম আরো শক্তিশালী হয় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
  4. গর্ভবতী মায়ের কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয় এক্ষেত্রে বিদ্রুপ থাকা সাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
  5. বিটরুটে থাকা আয়রন রক্তস্বল্পতা দূর করে। বিটরুট রক্তে হিমোগ্লোবিন এর সংখ্যা বাড়ায়।

রূপচর্চায় বিটরুট এর ব্যবহার

বিটরুট ত্বক ও চুলের জন্য খুব উপকারী। বিটরুট ব্লেন্ড করে তার রস মুখে মাখলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় ত্বক মসৃণ থাকে এবং ত্বকের যাবতীয় সমস্যা দূর হয়। বিটরুট এর রস ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে এছাড়াও ত্বকের মৃত কোষ দূর করে ওপেন পোরস মিনিমাইজ করে। ত্বকে বয়সের ভাব কমায়। আপনারা চাইলে বিটরুটের রসের সাথে মধু মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। আবার টক দই বিদ্যুটের রস এবং বেসন একসাথে পেস্ট করে মুখে লাগিয়ে রাখলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।

চুলের যত্নে বিটরুট ব্যবহার করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে মেহেদী পাতার সাথে বিটরুট পেস্ট করে মাথায় লাগিয়ে রাখতে পারেন ৩০ মিনিটের জন্য। এরপর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলবেন এতে চুল খুব সাইনি এবং হেলদি হবে। চুলের গোড়া শক্ত এবং চুল পড়া রোধ করতে বিটরুটের সাথে পেঁয়াজ পেস্ট করে মাথায় লাগিয়ে রাখলে চুল পড়া রোধ অনেকাংশে দূর করা সম্ভব এবং এটি নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে। এছাড়াও পেস্ট করে ঠোঁটে লাগিয়ে রাখলে ঠোঁটের কালচে ভাব দূর হয় এবং ঠোঁট খুব সফট হয়।

অন্ত্র সুস্থ ও সবল রাখতে বিটরুট

হজম শক্তি ভালো রাখতে এবং লিভার ভালো রাখতে আমাদের শরীরে দরকার হয় ফাইবার। আর এই বিটরুটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যা দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। বিটরুটের রস শর্করার মাত্রা কমিয়ে আনে। যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে অথবা যাদের রক্তে শর্করা ও সুগারের পরিমাণ বেশি তারা নিয়মিত খেলে খুব ভালো ফলাফল এবং উপকার পাবেন। বিটরুট খেলে ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং শরীরের শক্তি থাকে এ কারণে প্রতিদিন কর্মব্যস্তময় জীবনে শক্তি সঞ্চয় করতে গেলে বিদ্যুৎ খাওয়া অতীব জরুরী। আমরা চাইলে কাঁচা বিটুইট অথবা বিটরুটের রস হিসেবে সেবন করতে পারি। বিটরুট নাইট্রেট সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ায় যা শরীরে অ্যাথলেটিক পারফর্মেন্স বাড়ায়। বিটরুট শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে। যার কারণে আমাদের অন্ত্র সুস্থ ও সবল রাখে।

বিটরুট-খেলে-মিলবে-অবিশ্বাস্য-৭-টি-উপকার

রক্তস্বল্পতা নিয়ন্ত্রণে বিটরুটের ব্যবহার 

বিটরুট খেলে মিলবে অবিশ্বাস্য ৭ টি উপকার। এতে রয়েছে ফলিক এসিড এবং আয়রন যা রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে। আয়রন রক্তে লোহিত কণিকার উৎপাদন বাড়ায় এবং হিমোগ্লোবিন বাড়ায় যার ফলে রক্তস্বল্পতার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এছাড়াও বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা লোপ পায় সেক্ষেত্রে বিটরুট মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ বাড়ায়। তাই বলা যায় একটি সুস্থ মস্তিষ্ক এর জন্য বিটরুট বেশ কার্যকরী।

বিটরুটের কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া 

বিটরুট খেলে মিলবে অবিশ্বাস্য ৭ টি উপকার। বিটরুট একটি সুপার ফুড হিসেবে পরিচিত। এটি শরীরের জন্য অনেক উপকারী হলেও কিছু কিছু সময় বা কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিটরুট খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিতে হবে। এটি প্রতিদিন নিয়মিত না খেয়ে সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন খাওয়া যেতে পারে। যাদের  অন্য রক্তচাপ রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে বিটরুট খাওয়ার সময় সতর্ক থাকতে হবে কারণ বিটরুট রক্তচাপ কমিয়ে দেয় এটি উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের ক্ষেত্রে বেশ উপকারী।

আরও পড়ুনঃ বেল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানুন

আবার কারো কারো ক্ষেত্রে বিটরুটে এলার্জি হতে পারে সে ক্ষেত্রে বিটরুট খেলে চুলকানি,ফুসকুনি, ত্বকে লালচে ভাব দেখা দেয়। তাই যাদের অ্যালার্জি সমস্যা রয়েছে তাদের বিদ্যুৎ খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক তার সাথে খেতে হবে। আবার যাদের কিডনিতে পাথর রয়েছে তাদের বিটরুটখাওয়া পরিহার করতে হবে। বিটরুটে সুগার থাকা বিটরুটে সুগার থাকায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য না খাওয়াই উত্তম। তবে পরিমিত পরিমাণে খেলে তেমন সমস্যা হবে না বলে আশা করা যায়।

শেষ কথাঃ  বিটরুট খেলে মিলবে অবিশ্বাস্য ৭ টি উপকার

বিটরুট খেলে মিলবে অবিশ্বাস্য ৭ টি উপকার এই আর্টিকেলের মাধ্যমে বিটরুট খাওয়ার উপকারিতা বিদ্যুতের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এবং কি কি উপায়ে বিদ্রুট খেতে পারেন সব বিষয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করা হয়েছে।আশা করি এটি আপনাদের খুব উপকারে আসবে। বিটরুট খেলে মিলবে অবিশ্বাস্য ৭ টি উপকার । তাই নিয়মিত খাবার তালিকায় বিটরুট যোগ করতে পারেন। কিন্তু যারা আগে থেকেই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত তারা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বিটরুট খেতে পারেন। আশা করি আমার এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা অনেক উপকৃত হয়েছেন। এরকম আরো তথ্য পেতে আমাদের সাথেই থাকুন এবং পোস্টটি ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url