গর্ভাবস্থায় প্রস্রাবের ইনফেকশন এর কারণ,লক্ষণ ও প্রতিকার

গর্ভাবস্থায় প্রস্রাবের ইনফেকশন এর কারণ,লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে অনেকেই জানতে চেয়েছেন। ইউরিন বা প্রসাবের ইনফেকশন কথাটি ছোট হলেও এটি মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি করে থাকে। গর্ভাবস্থায় এই বিষয়ে সচেতন থাকা অনেক বেশি জরুরী।
গর্ভাবস্থায়-প্রস্রাবের-ইনফেকশন-এর-কারণ-লক্ষণ-ও-প্রতিকার
গর্ভাবস্থায় এই সমস্যা দেখা দিলে নিজের সমস্যার পাশাপাশি গর্ভের সন্তানের ক্ষতি হতে পারে। এই অবস্থায় একজন গর্ভবতী মাকে সকল অসুখ থেকে দূরে থাকতে হয়। গর্ভাবস্থায় প্রস্রাবের ইনফেকশন হওয়ার কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করব।

সূচিপত্র ঃ গর্ভাবস্থায় প্রস্রাবের ইনফেকশন এর কারণ,লক্ষণ ও প্রতিকার

গর্ভাবস্থায় প্রস্রাবের ইনফেকশন এর কারণ,লক্ষণ ও প্রতিকার

মূত্রনালীর সংক্রমণ গর্ভাবস্থায় একটি সাধারণ বিষয়। যদি ঠিক সময়ে এই সংক্রমণ গুলো চিকিৎসা না করা হয় তাহলে একজন মা বিভিন্ন রকম অস্বস্তিতে ভোগেন পাশাপাশি তার গর্ভের সন্তানের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় মূত্রনালির সংক্রমণ এর কারণ ও লক্ষণ বোঝে তার প্রতিকার করা উচিত যাতে গর্ভের সন্তান এবং মা উভয়ে নিরাপদ থাকেন।
মহিলাদের মধ্যে অনেকেরই প্রসাব আটকে রাখার প্রবণতা বেশি রয়েছে। অনেক সময় অনেকে ঘন্টার পর ঘন্টা প্রসাব আটকে রাখেন। যার ফলে ব্লাডারে ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বেড়ে যায়। তাই গর্ভাবস্থায় এই কাজটি মোটেও করা উচিত হবে না। যখনই প্রস্রাবের চাপ আসবে তখনই সাথে সাথে প্রস্রাবসেরে ফেলতে হবে। পাশাপাশি পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। এই নিয়মটা মেনে চলতে পারলেই দেখবেন প্রস্রাবের ইনফেকশন অনেক অংশ কমে যাবে।

প্রস্রাবের ইনফেকশন কি?

আমাদের শরীর থেকে বিভিন্ন বজ্র পদার্থ এবং অতিরিক্ত পানি প্রস্রাব আকারে বের হয়ে যায়। ব্যাকটেরিয়া মূত্রনালীতে প্রবেশ করলে এবং মুত্রাশয়ের সংখ্যা বৃদ্ধি করে তখন এটি প্রস্রাবের ইনফেকশন বা মূত্রনালির ইনফেকশন হিসেবে বিবেচিত হয়। সংক্রমণ দেখা দিলে ঘন ঘন প্রস্রাব হয়, প্রসাবে জ্বালাপোড়া করে, এবং প্রচন্ড দুর্গন্ধ হয়।

প্রস্রাব বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াটি মূত্র তন্ত্রের সাথে সম্পর্কিত। আর এই মূত্র তন্ত্রের কোন অংশ জীবাণু সংক্রমণ হলে সেটিকে ইউরিন ইনফেকশন বা প্রসাবের ইনফেকশন বলে। মূত্র তন্ত্র এর মধ্যে থাকে কিডনি, ইউরেটার, মূত্রথলি ও মূত্রনালী। গুরুতর সংক্রমণ হলে মুত্রাশয় সংক্রমণ থেকে কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে যা আরও গুরুতর হতে পারে।

কেন গর্ভাবস্থায় প্রস্রাবের ইনফেকশন বেশি হয়?

গর্ভাবস্থায় একজন মহিলাদের শরীরে অনেক রকম পরিবর্তন দেখা দেয়। এসবের মধ্যে অনেক কারণ মুদ্রাশয় সংক্রমণ বা ইউরিন ইনফেকশনের জন্য দায়ী। নিতে প্রস্বাবের ইনফেকশন বেশি হওয়ার কয়েকটি কারণ তুলে ধরা হলো-

ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ ঃ প্রস্রাবের ইনফেকশন হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ। ব্যাকটেরিয়া মূত্রনালীতে প্রবেশ করে মুদ্রা সহ এর সংখ্যা বৃদ্ধি করে যার ফলে ইউরিন ইনফেকশন দেখা দেয়।

হরমোন পরিবর্তন ঃ গর্ভাবস্থায় হরমোনগত পরিবর্তন দেখা দেয়। যা মূত্রনালীর বেশি গুলোকে শিথিল করে।প্রোজেস্ট্রেরন একটি হরমোন যা গর্ভাবস্থায় বৃদ্ধি পায়। যার ফলে প্রসাবের প্রবাহ ধীরগতিতে হয় এবং ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ বেশি হয়।

মুত্র নালীর পরিবর্তন  ঃ গর্ব অবস্থায় মূত্রনালীর পরিবর্তন হয়ে থাকে। এ সময় জরায়ু প্রসারিত হয় যার ফলে মূত্রনালী এবং মুত্রাশয়ের উপর চাপ পড়ে। আর এই চাপ মুদ্রাশয় কে সম্পূর্ণরূপে খালি করা কঠিন হয়ে পড়ে যার কারণে প্রসাব স্থবির হয়ে যায় এবং প্রস্রাবের ইনফেকশন দেখা দেয়।

প্রসাব উৎপাদন  বৃদ্ধি ঃ গর্ভাবস্থায় প্রসব উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। গর্ভাবস্থায় কিডনিতে রক্ত প্রবাহ বাড়ে যার ফলে প্রসাব আরো বেশি তৈরি হয়। এর ফলে কখনো কখনো অসম্পূর্ণ মুদ্রাশয় খালি হতে পারে যা ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিকে বাড়িয়ে দেয়।

গর্ভাবস্থায় প্রস্রাবের ইনফেকশন এর সাধারন কারন

গর্ভাবস্থায় প্রস্রাবের ইনফেকশনের সাধারণ কিছু কারণ রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো
  • ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ
  • যৌন কার্যকলাপ
  • খারাপ স্বাস্থ্য অবস্থা
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান না করা
  • হরমোনগত পরিবর্তন
  • প্রসাব উৎপাদন বৃদ্ধি
  • মূত্রনালী পরিবর্তন
  • ক্যাথাটার ব্যবহার

গর্ভাবস্থায় প্রস্রাবের ইনফেকশন এর লক্ষণ

প্রসাবের ইনফেকশনের সাধারণ লক্ষণগুলো বুঝতে পারলে সাবধান ও সতর্ক থেকে অনেকাংশে এটি নির্মূল করা সম্ভব। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক প্রসাবের ইনফেকশনের সাধারণ লক্ষণগুলো কি কি
  • ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ আশা
  • প্রসাব করার সময় জ্বালাপোড়া করা
  • প্রসাবের সাথে রক্ত যাওয়া
  • তলপেটে ব্যথা ও অস্বস্তি
  • গুরুতর ক্ষেত্রে জ্বর ও ঠান্ডা লাগা
  • অনিয়মিত প্রস্রাব
  • প্রসাবে দুর্গন্ধ হওয়া
  • প্রসাবের রং লাল বা গারো হলুদ হওয়া
  • কোমরে প্রচন্ড ব্যথা হওয়া
  • রাতে ঘুমের মধ্যে অতিরিক্ত প্রসাবের চাপ

গর্ভাবস্থায় প্রস্রাবের ইনফেকশন এর প্রতিকার

গর্ভাবস্থায় প্রসবের ইনফেকশন থেকে মুক্তি পেতে চাইলে একটি সুস্থ জীবন যাপন পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। এবং জীবনধারার পরিবর্তন আনতে হবে। প্রসাবের ইনফেকশন বোঝে নিম্নলিখিত কাজগুলো করলে অনেকাংশে এ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। নিচে সেগুলো তুলে ধরা হলো-
পানিযুক্ত খাবার ঃ দিনে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। পানিযুক্ত খাবার বেশি বেশি খান যাতে শরীর থেকে ব্যাকটেরিয়া বের হয়ে যেতে পারে। কারণ অতিরিক্ত পানি পান করলে মুত্রনালীর সাথে ব্যাকটেরিয়া বের হয়ে যায়।

প্রসাব এর চাপ ধরে রাখবেন না ঃ যখনই বুঝতে পারবেন প্রস্রাবে চাপ এসেছে তখনই সাথে সাথে প্রস্রাব সেরে ফেলবেন। এবং প্রতিবার প্রস্রাবের সময় মুত্রাশয় সম্পূর্ণ খালি করা চেষ্টা করবেন যাতে মূত্রনালীতে আর প্রসাব জমা না থাকে।

ভালো স্বাস্থ্য নিশ্চিত ঃ বাথরুম সারার পরে অবশ্যই ভালোভাবে পরিষ্কার হয়ে নিন। পানি থাকলে তা মুছে নিন। যৌন কার্যকলাপের আগে এবং পরে পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার হয়ে নিন। এমন সাবান ব্যবহার করুন যার কারণে মূত্রনালী জ্বালাপোড়া ভাব হবে না।

ঢিলেঢালা কাপড় পরিধান করুন ঃ গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের স্বাস্থ্যের বা মানসিক অবস্থার পরিবর্তন হয়ে থাকে। পোশাকের সাথে অনেকটাই মানসিক স্বাস্থ্য জড়িয়ে থাকে। খুব টাইট কাপড় পরিধান করলে তা খুব অস্বস্তি অনুভূত হয় এবং শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। এমন পোশাক পরিধান করুন যাতে সংক্রমনের ঝুঁকি কম থাকে।
এছাড়াও নিম্নলিখিত কাজগুলো করবেন না। যেমন-
  • প্রসবের বেগ আসলে কখনোই তা আটকে রাখবেন না
  • প্রস্রাব করার সময় অতিরিক্ত তাড়াহুড়া করবেন না
  • টাইট অন্তর্বাস ব্যবহার করবেন না
  • অতিরিক্ত চিনি যুক্ত খাবার ও পানীয় গ্রহণ করবেন না
  • যৌনাঙ্গে সুগন্ধি সাবান ও ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করবেন না
  • অতিরিক্ত কনডম ব্যবহারের কারণে এমন সমস্যা হতে পারে তাই সতর্ক থাকুন।

গর্ভাবস্থায় প্রস্রাব আটকে রাখলে কি হয়?

গর্ভাবস্থায় প্রসাব আটকে রাখলে অনেক রকম সমস্যা সৃষ্টি হয়। অনেক সময় এই সমস্যা তার গর্ভের সন্তানের উপর প্রভাব পড়ে। প্রসাব আটকে রাখলে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ বৃদ্ধি পায় যার ফলে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। প্রসব আটকে রাখার ক্ষতিকর দিকগুলো হলো-
  • গর্ভাবস্থায় জরায়ু পরিধি বৃদ্ধি পায় যার ফলে প্রস্রাব আটকে রাখলে সেখানে চাপ পড়ে এবং ব্যথার সৃষ্টি হয়।
  • প্রস্রাব আটকে রাখলে মুদ্রাশয় এ ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমন বেড়ে গিয়ে মূত্রনালীতে সংক্রমণ হতে পারে।
  • দীর্ঘদিন প্রসাব আটকে রাখার ফলে এবং মুখরাশ হয়ে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমনে কিডনির সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। কারণ প্রসব আটকে থাকলে কিডনির উপর চাপ পড়ে যা কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত করে।
  • প্রস্রাব আটকে রাখার ফলে মুত্রাশয় ফুলে ওঠে এবং মূত্রনালীতে ব্যাথার সৃষ্টি হয় যা পরবর্তীতে প্রস্রাব করতে সমস্যা হয়।
  • গর্ভাবস্থায় জরায়ু বৃদ্ধি, মুত্রাশয় সংক্রমণ, শরীরে বিভিন্ন হরমোনের পরিবর্তন হয়ে থাকে। আর তা মুদ্রাশয়ের কার্যকলাপের উপর প্রভাব ফেলে। ফলে পেটের চাপ সৃষ্টি হয় এবং পেলভিক অঞ্চলের ব্যথা অনুভব হয়।

গর্ভাবস্থায় ঘন ঘন প্রস্রাব হয় কেন?

গর্ভাবস্থায় ঘন ঘন প্রস্রাব হয় যার ফলে অনেকেই চিন্তিত হয়ে পড়েন যে কোন শারীরিক সমস্যা হয়েছে কিনা। আর এ কারণে অনেকেই গর্ভাবস্থায় প্রস্রাবের ইনফেকশন এর কারণ,লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আসলে গর্ভাবস্থায় ঘনঘন প্রস্রাব হওয়া এটি কোন সমস্যা না এটি একটি সাধারণ বিষয় যা প্রত্যেকটি গর্ভবতী মায়েরই হয়ে থাকে।

গর্ভাবস্থায় গর্ভের ভ্রুণ প্রতিনিয়ত বেড়ে চলে এবং সেই ভ্রূণকে জায়গা দিতে জরায়ু প্রসারিত হয়। আর এই কারনে ইউরিনারি ব্লাডারের উপর চাপ পড়ে এবং ঘনঘন প্রস্রাবের বেগ আসে। এছাড়াও গর্ভাবস্থায় হরমোনের পরিবর্তন হয়ে থাকে যার ফলে ঘনঘন প্রস্রাব হয়। তবে খেয়াল রাখতে হবে  গর্ভবতী মায়ের ডায়াবেটিস রয়েছে কিনা ডায়াবেটিস থাকলে ঘন ঘন প্রসাবের বেগ আসে। আর ডায়াবেটিস না থাকলে এটি সাধারণ একটি বিষয় হিসেবে বিবেচিত হয়।

পুরুষের তুলনায় নারীরা বেশি আক্রান্ত হয় কেন?

নারী-পুরুষ উভয়েরই প্রস্রাবের ইনফেকশন হয়ে থাকে। তবে পুরুষদের তুলনায় নারীদের এই সমস্যা বেশি হয়ে থাকে। সাধারণত পায়খানা থাকা বিভিন্ন জীবাণু মূত্রতন্ত্রের সংক্রমণ সৃষ্টি করে। মূত্রনালী দিয়ে এসব জীবাণু মুত্রতন্ত্রে প্রবেশ করে যার ফলে ইনফেকশন সৃষ্টি হয়। আর নারীদের মূত্রনালী পুরুষদের মূত্রনালীর তুলনায় অনেক ছোট।
তাছাড়া নারীদের মূত্রনালী পায়ুপথের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হওয়ায় ব্যাকটেরিয়া পায়ুপথ দিয়ে মূত্রনালীতে প্রবেশ করে প্রসাবের সংক্রমণ ঘটায়। তাই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা অতি জরুরী। প্রতিবার প্রস্রাব পায়খানা করার পরে খুব ভালোভাবে পরিষ্কার হতে হবে। এছাড়াও যৌন সম্পর্ক স্থাপনের পরে যৌনাঙ্গ খুব ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে যাতে কোন রোগ জীবাণু আক্রমণ করতে না পারে।

ইউরিন বা প্রস্রাবের ইনফেকশন এর চিকিৎসা 

ইউরিন বা প্রসাবের ইনফেকশন দেখা দিলে বসে না থেকে খুব দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আর একজন গর্ভবতী মা যদি এই সমস্যা অনুভব করেন তাহলে অবশ্যই একজন ভালো চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। ডাক্তার প্রস্রাব পরীক্ষা করে আপনার রোগ নিশ্চিত করবেন। তবে প্রসাবের ইনফেকশন হলে এন্টিবায়োটিক কোর্স অবশ্যই পরিপূর্ণভাবে শেষ করতে হবে। ঠিকমতো ঔষধ সেবন করলে তিন থেকে চার দিনের মধ্যেই আপনি ভাল অনুভব করতে থাকবেন।

মন্তব্য ঃ গর্ভাবস্থায় প্রস্রাবের ইনফেকশন এর কারণ,লক্ষণ ও প্রতিকার

গর্ভাবস্থায় প্রস্রাবের ইনফেকশন এর কারণ,লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে অনেকেই জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনারা অনেক উপকৃত হবেন। কিছু জানার থাকলে অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন এবং নতুন নতুন আরো তথ্য পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url